MOUSE CURSOR

Blogger Widgets

About me

PARANCHAK SIKSHANIKETAN MILESTONE


পরাণচক শিক্ষানিকেতন(সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)
শ্রী কুশধ্বজ পণ্ডা
প্রাক্তন ছাত্র ও প্রাক্তন শিক্ষক

     পশ্চিমবঙ্গের ১ম মুখ্যমন্ত্রী চিরকুমার ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের পালিতাকন্যা সাধনা সোমের লেখা “কুমার চন্দ্র” জীবনী বই থেকে জানা যায় যে পরাণচক গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসুদেবপুর গ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামী জননেতা কুমার চন্দ্র জানা মহাশয় এই স্কুলে ১ম ছাত্র হিসাবে ১৯০৭ সালে ভরতি হন এবং এখান থেকে ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই স্কুলে কয়েকবছর শিক্ষকতা করেন। সেজন্য ঐ ১৯০৭ সালকেই স্কুলের প্রতিষ্ঠা বর্ষ হিসাবে মেনে নেওয়া হয়।
    এক পরোপকারী ও শিক্ষানুরাগী জমিদার পরানচক গ্রাম নিবাসী শ্রী গিরিশচন্দ্র জানা মহাশয় জাতীয়তা বোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইং ১৯০৭ সালে এতদ্ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্য নিয়ে পরাণচক গ্রাম সংলগ্ন কশবেড়িয়াতে স্থাপন করলেন “মধ্য বাংলা বিদ্যালয়” ইংরাজিতে বলা হত MIDDLE VERNACULAR SCHOOL সংক্ষেপে (M.V. School)



    বিদ্যালয়ের প্রথম আচার্যগণের নাম ও ঠিকানা :-
নং
নাম
গ্রাম
শিক্ষাগত যোগ্যতা
পদের নাম
শ্রী ক্ষীরোদচন্দ্র পট্টনায়েক
কিৎ শিবরামনগর
ভি.এম.
হেড পণ্ডিত
শ্রী নীরদকান্ত মাইতি
চাউলখোলা
ষষ্ঠ মান
সেকেন্ড পণ্ডিত
শ্রী সদানন্দ দাস
শোভারামপুর
ষষ্ঠ মান
থার্ড পণ্ডিত
শ্রী ননীগোপাল দাস
লালপুর
ষষ্ঠ মান
ফোর্থ পণ্ডিত

এঁরা প্রত্যেকে যোগ্যতা অনুসারে এক একটি ক্লাসের দায়িত্ব নিয়ে পড়াতেন। আরও ২জন শিক্ষক স্কুলে পড়াতেন।
        প্রতিষ্ঠাতা গিরিশবাবু নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণদের নিয়ে একটি পরিচালনা সমিতি গঠন করেছিলেন।
নং
নাম
গ্রাম
পদ
১.
শ্রী গিরিশ চন্দ্র জানা
পরাণচক
সম্পাদক
২.
শ্রী মহেন্দ্রনাথ প্রামাণিক
পরাণচক
সদস্য
৩.
শ্রী উমেশ চন্দ্র প্রধান
পরাণচক
সদস্য
৪.
শ্রী দর্পহরি গায়েন
পরাণচক
সদস্য
৫.
শ্রী প্রেমচাঁদ প্রধান
পরাণচক
সদস্য
৬.
শ্রী মহেন্দ্রনাথ জানা
কিংধান্যঘাটা
সদস্য
৭.
শ্রী বলাই চরণ দাসাধিকারী
কশবেড়িয়া
সদস্য
৮.
শ্রী রাজেন্দ্রনাথ দণ্ডপাট
বাসুদেবপুর
সদস্য
৯.
শ্রী প্যারীমোহন সেন
বিজয়রামনগর
সদস্য
১০.
শ্রী হরিচরণ কুইতি
খঞ্জনচক
সদস্য
১১.
শ্রী ইন্দ্রনারায়ণ সামন্ত
কশবেড়িয়া
সদস্য
১২.
শ্রী গণেশ চন্দ্র মাইতি
কশবেড়িয়া
সদস্য
     স্কুল বাড়ীটির ছিল মাটির দেওয়াল ও খড়ের ছাউনি সহ চারিটি ঘর। বাড়িটির পশ্চিমদিকে ছিল আলাদা করে একটি ঘর যা একাধারে ষষ্ঠমান ও লাইব্রেরী ঘর হিসাবে ব্যবহৃত হত। প্রতিবছর সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ধূমধামের সঙ্গে ৩-৪দিন যাত্রাভিনয় অনুষ্ঠিত হোত।
     এরপর শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। ব্রিটিশ  শাসনাধীন ভারতবর্ষে সরকারী ভাষা হল ইংরাজি। তাই স্কুলে ইংরেজী শিক্ষাদানের জন্য এলেন। মাত্র ২ বছর শিক্ষকতার পরে তিনি আইন পরীক্ষায় পাশ করে ডায়মন্ড হারবার কোর্টে ওকালতি শুরু করতে চলে গেলেন। তাঁর শূন্য পদে এলেন ময়না থানার অন্তর্গত পুতপুতিয়া গ্রাম নিবাসী কর্মবীর পরম শ্রধ্যেয় শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র দাস মহাশয় – ১৯১৩ সালে। তিনি তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুল থেকে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। দূরদর্শী সম্পাদক গিরিশবাবু প্রথম দর্শনেই তাঁকে চিনতে ভুল করেননি। তিনি গোবিন্দবাবুকে গৃহশিক্ষক রূপে বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এর পরের ইতিহাস প্রকৃত পক্ষে তাঁরই সৃষ্টি।
     গোবিন্দবাবুর পরামর্শক্রমে বিদ্যোৎসাহী গিরিশ বাবু পরাণচক গ্রামের উত্তর পূর্ব প্রান্তে বর্তমান স্থানে নতুন স্কুল বাড়ী স্থাপনের জন্য জমি দান করেন। গিরিশবাবুর অপর তিন ভাই যথাক্রমে অবিনাশবাবু, ভূষণবাবু ও বীরেনবাবু বড়ভাই এর পরামর্শক্রমে ঐ জমি রেজিষ্টার করেন। ১৯১৮ সাল। স্কুলের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সংযোজিত হল। স্থাপিত হল Middle English School নাম হল Paranchak M.E. School বাংলা নাম হল পরাণচক মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত M.V. School রূপান্তরিত হল M.E. School এ ১৯১৮ সালে।
        পুকুর কেটে জমি ভরাট করে নতুন বাড়ী তৈরি হল। চুন-সুরকি দিয়ে গাঁথা আটখানা ঘর বিশিষ্ট হোল এই প্রতিষ্ঠান। ৭খানা ক্লাসঘর এবং একটি অফিস ঘর। অফিসঘরটি শিক্ষক মহাশয়গণের বসবার ঘর এবং সেই সঙ্গে পাঠাগার রূপেও ব্যবহৃত হত। ১৯৪২ সালের প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ও বন্যায় স্কুল বাড়ীটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুনরায় ঘর সংস্কার করা হয়। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক উদার হৃদয় গিরিশবাবুর মহাপ্রয়াণে এতদঅঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গোবিন্দবাবুর পরামর্শে গিরিশবাবুর সুযোগ্য সন্তান নৃত্যগোপাল বাবু থাকা সত্ত্বেও একান্নবর্তী পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ গিরিশবাবুর মধ্যম ভ্রাতা অবিনাশবাবু সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঐ পদে আসীন ছিলেন। তবে নৃত্তগোপালবাবু ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি রূপে দীর্ঘকাল কাজ করে গেছেন। জানা বাড়ী ছাড়াও আরও কতিপয় ব্যক্তি স্কুলের উন্নতিকল্পে কিছু জমি দান করেছিলেন। তাঁরা হলেন পরাণচক গ্রাম নিবাসী শ্রী উমেশ চন্দ্র প্রধান, খঞ্জনচক গ্রামের শ্রী স্রীহরি চরণ কুইতি ও বাসুদেবপুর গ্রাম নিবাসী শ্রী সারদাপ্রসাদ দাস প্রভৃতি। এছাড়া স্কুলটির আর্থিক সংকট মোচনের জন্য শিশুরামচক গ্রাম নিবাসী শ্রী ইন্দ্রনারায়ণ করণ মহাশয় প্রভুত আর্থিক সাহায্য দিয়ে রক্ষা করেছেন। ইন্দ্রবাবুর আর্থিক সাহায্যের কথা গোবিন্দবাবু আমাদের নিকট কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে গেছেন।
     এবার এম.ই. স্কুলের শিক্ষকগণের পরিচয় প্রসঙ্গে আসছি। স্কুলের প্রথম থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনার কাজে ব্রতী শিক্ষকগণের নাম যথাক্রমে –
নং
নাম
গ্রাম
পদ
১।
শ্রী মোহিনী মোহন ভৌমিক
বাড়ধান্যঘাটা
হেডমাস্টার
২।
শ্রী নিবারণ চন্দ্র উত্থাসিনী
ধনবেড়িয়া
হেডমাস্টার
৩।
শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র দাস
পুতপুতিয়া (ময়না)
সেকেন্ড মাস্টার
৪।
শ্রী যতীন্দ্রনাথ ভূঞ্যা
অজ্ঞাত
থার্ডমাস্টার
৫।
শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ জানা
কিংধান্যঘাটা
থার্ড মাস্টার
৬।
শ্রী ভোলানাথ প্রামাণিক
পরাণচক
থার্ড মাস্টার
৭।
শ্রী সুরেন্দ্রনাথ বৈতালিক
রাজারামপুর
ফোর্থ মাস্টার
৮।
শ্রী কৃষ্ণপ্রসাদ বেরা
দেভোগ
হেড পণ্ডিত
৯।
শ্রী প্রভাস চন্দ্র পাল
বাড়বাসুদেবপুর
হেড পণ্ডিত
১০।
শ্রী সুধীর চন্দ্র খাঁড়া
কিংশিবরামনগর
হেড পণ্ডিত
১১।
শ্রী হরিপদ গায়েন
পরাণচক
লাস্ট মাস্টার

এখানে একটা কথা বলার প্রয়োজন – মধ্য বাংলা স্কুলের পণ্ডিতগণ মধ্য ইংরেজি স্কুলে মাস্টার নামে অভিহিত হতেন।
        দূরদর্শী শিক্ষাবিদ গোবিন্দবাবু এম.ই. স্কুলটিকে হাইস্কুলে উন্নীত করবার বাসনা নিয়ে অগ্রসর হলেন। স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে ব্যাপারে বিপুল সাড়া পেলেন। অবশেষে এল ১৯৪৯ সালের ২রা জানুয়ারির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। খোলা হল সপ্তম শ্রেণি। আমরাই হলাম সপ্তম শ্রেণির প্রথম ছাত্র। বাড়ী থেকে ক্লাস করতে পারব, বাইরে থাকতে হবে না – এ এক অনির্বচনীয় মানসিক আনন্দ লাভ করলাম। তৃতীয়বার স্কুলের নাম পরিবর্তন হোলো। পরাণচক এম.ই. স্কুলের পরিবর্তিত নাম হোলো ‘পরাণচক শিক্ষানিকেতন’ – যা আজও সকলের নিকট অতিপরিচিত নাম।
        গান্ধীভক্ত সুতাহাটা থানার কাষ্ঠখালি গ্রামের যোগ্য সন্তান শ্রী প্রফুল্ল কুমার সামন্ত মহাশয় তখন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে কাজ করে চলেছেন হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত রাধাপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে। তিনি আবার স্কুলের সম্পাদক অবিনাশ বাবুর জ্যেষ্ঠ জামাতা। অবিনাশবাবু ও গোবিন্দবাবুর আন্তরিক আহ্বান উপেক্ষা করতে না পেরে নতুন স্কুল গড়ার মানসিকতা নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২রা এপ্রিল শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। গোবিন্দবাবু ও প্রফুল্লবাবুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পরাণচক শিক্ষানিকেতন ১৯৫২ সালে West Bengal Board of Secondary Education থেকে High School রূপে অনুমোদন লাভ করল।
        ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত যাঁরা স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে শিক্ষাদানে ব্রতী ছিলেন তাঁরা হলেন- সর্বশ্রী প্রফুল্ল কুমার সামন্ত(প্রঃ শিঃ), মোহিনী মোহন ভৌমিক, ধরণীধর ঘোষখান, সুধীর চন্দ্র খাঁড়া, গৌরিপদ মুখার্জি, প্রফুল্ল রঞ্জন জানা, সতিশ চন্দ্র সাহু, যদুপতি চক্রবর্তী, মাধব চন্দ্র সামন্ত, ফণীন্দ্রনাথ ভূঞ্যা, বাহাদুর চন্দ্র জানা, গোবিন্দ চন্দ্র দাস, (করণিক) ও আরও অনেকে।
        এরপর ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত যাঁরা স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে শিক্ষকতার কাজ করেছেন তাঁরা হলেন-
১। শ্রী প্রফুল্ল কুমার সামন্ত, প্রধান শিক্ষক
২। শ্রী বিবেকানন্দ পাল, সহ-প্রধান শিক্ষক
৩। শ্রী মাধব চন্দ্র সামন্ত, সহ-প্রধান শিক্ষক
৪। শ্রী রবীন্দ্রনাথ করণ, সহশিক্ষক
৫। শ্রী নিখিল কুমার জানা, সহশিক্ষক
৬। শ্রী অজিত নাথ দাস, সহশিক্ষক
৭। শ্রী বিমলেন্দু গজেন্দ্র মহাপাত্র, সহশিক্ষক
৮। শ্রী উত্তম কুমার চক্রবর্তী, সহশিক্ষক
৯। শ্রী ফণীন্দ্রনাথ ভূঞ্যা, সহশিক্ষক
১০। শ্রী কুশধ্বজ পণ্ডা, সহশিক্ষক
১১। শ্রী রাজকৃষ্ণ দাস, সহশিক্ষক
১২। শ্রী বলাই চরণ ভৌমিক, সহশিক্ষক
১৩। শ্রী পিনাকী রঞ্জন জানা, সহশিক্ষক
১৪। শ্রী অমূল্য চরণ সামন্ত, সহশিক্ষক
১৫। শ্রী রাধাকৃষ্ণ পাল, সহশিক্ষক
১৬। শ্রী শশাংক শেখর প্রামানিক, সহশিক্ষক
১৭। শ্রী বিমলেন্দু চক্রবর্তী, সহশিক্ষক
১৮। শ্রী নিমাই চন্দ্র দাস, সহশিক্ষক
        এর পরবর্তী ইতিহাস – উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার ইতিহাস। ১৯৬১ সালে পুনরায় গোবিন্দবাবু ও প্রফুল্লবাবুর যুগ্ম প্রচেষ্টায় কলা বিভাগ সহ উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণী খোলা হল। তখন দ্বাদশ শ্রেণী ছিলনা। ১ বছর পরে প্রধান শিক্ষক প্রফুল্লবাবুর প্রচেষ্টায় উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক শাখা(Science and Arts) খোলা হয়। অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন-
১। শ্রী ভক্তিভূষণ দাস(পদার্থ বিদ্যা)
২। শ্রী সতিশ চন্দ্র সামন্ত (রসায়ন)
৩। শ্রী দ্বিজেন্দ্রলাল প্রধান (পদার্থ বিদ্যা)
৪। শ্রী বিজন কুমার কুণ্ডু (পদার্থ বিদ্যা)
৫। শ্রী নিত্যানন্দ দাস (অংক শাস্ত্র)
৬। শ্রী পরিতোষ দোলুই (রসায়ন)
৭। শ্রী মনীন্দ্রনাথ বেতাল (দর্শন শাস্ত্র)
৮। শ্রী গজেন্দ্রনাথ মান্না (ইতিহাস ও ইংরেজি)
৯। শ্রী নারায়ণ চন্দ্র ভক্তা (বাংলা)
১০। শ্রী সুরেন্দ্রনাথ প্রধান (কমার্স)
১১। শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহু (জীবন বিজ্ঞান)
১২। শ্রী অর্জুন কুমার বক্সী (Craft Teacher)
১৩। শ্রী অনন্ত কুমার প্রামানিক
১৪। শ্রী ইন্দুভূষণ মাইতি (জীবন বিজ্ঞান)
        পুনরায় ১৯৭২ সালে স্কুল সরকারি নিয়মে মাধ্যমিক স্তরে প্রত্যাবর্তন করে। আবার ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়টি (১০+২) উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়।
        হাইস্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক কাষ্ঠখালি গ্রামের বরেণ্য সন্তান শ্রী প্রফুল্ল কুমার সামন্ত মহাশয় অবসরকালীন রোগভোগের পর ১৯৮৩ সনের ১৯শে মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অমৃতধামে চলে গেলেন।
      ১৯০৭ সালের ১১ই মে MIDDLE VERNACULAR SCHOOL হিসেবে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই বিদ্যালয় আজ পরাণচক শিক্ষানিকেতন(উচ্চমাধ্যমিক) নামে ২০০৭ সালে শতবর্ষ পূর্ণ করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ অলংকৃত করে যারাঁ বহু কৃতী সুযোগ্য বঙ্গ সন্তান গড়ে তুলে দেশ ও জাতির সেবার সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁরা হলেন –
প্রয়াত প্রফুল্ল কুমার সামন্ত..............................................................১/৪/১৯৪৯-৩১/৭/১৯৭৭
প্রয়াত মাধবচন্দ্র সামন্ত (সহ প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক)......১/৮/১৯৭৭-২৩/৪/১৯৮০
শ্রীযুত আশুতোষ রায়..................................................................২৪/৪/১৯৮০-২১/১১/১৯৮৯
প্রয়াত মাধবচন্দ্র সামন্ত (সহ প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক).....২২/১১/১৯৮৯-৭/৩/১৯৯১
শ্রীযুত স্বপন কুমার রায়....................................................................৮/৩/১৯৯১-৩১/৮/১৯৯২
প্রয়াত মাধবচন্দ্র সামন্ত (সহ প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক)......১/৯/১৯৯২-৩১/১২/১৯৯২
শ্রীযুত অমূল্যচরণ সামন্ত (ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক).........................................১/১/১৯৯৩-১৫/৯/১৯৯৩
শ্রীযুত কানাইলাল দাস ................................................................১৬/৯/১৯৯৩-২৮/২/২০০২
শ্রীযুত নিত্যানন্দ দাস (সহ প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক)........১/৩/২০০২-১৯/৩/২০০৩
শ্রীযুত দীপনারায়ণ জানা ................................................................২০/৩/২০০৩-

বিঃদ্রঃ – ১৯৪৯ সালের পূর্বে তত্থাদি সংগ্রহ করতে না পারায় সেগুলি উল্লেখ করতে পারা গেল না।




(স্মরণিকা থেকে গৃহীত ও সংক্ষেপিত)